Book Name:Faizan e Imam Shafi
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে নিজের জন্য ও সকল মুসলমানের জন্যও অধিকহারে দোয়া করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ইমামে আযম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মাযার পাকের বরকত
হে আশিকানে রাসূল! দোয়া করার ব্যাপারে ইমাম শাফেয়ী
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর আরেকটি সুন্দর নিয়ম ছিলো, সেটা এই যে, ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ আউলিয়াগণের মাযারে উপস্থিত হয়ে দোয়া করতেন। তিনি নিজেই বলেন: আমি যখন কোন সমস্যার সম্মুখিন হতাম, তখন আমি দুই রাকাত নামায আদায় করতাম এবং ইমাম আযম আবু হানিফা رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ এর মাযারে উপস্থিত হয়ে দোয়া করতাম তখন আল্লাহ পাক আমার সমস্যা সমাধান করে দিতেন। (ফাযায়ীলে দোয়া, ১৩৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! দ্বিতীয় শতাব্দীর মুজাদ্দীদ, আলিমে কুরাইশ হযরত ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নিজের সমস্যার সমাদানের জন্য আউলিয়ায়ে কেরামের মাযারে উপস্থিত হতেন এবং মাযারে উপস্থিতিকে সমস্যার সমাধান হওয়া এবং দোয়া কবুলের মাধ্যম মানতেন।
ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বড় দানশীল ছিলেন
হে আশিকানে রাসূল! হযরত ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর পবিত্র গুণাবলির মধ্যে একটি অনেক সুন্দর গুণ এটাও ছিলো যে, ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বড় দানশীল ছিলেন, হাজার হাজার টাকা খুশি মনে গরিবদের মাঝে বন্টন করতেন। হযরত হুমায়দী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একবার ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কোন কাজে ইয়ামেনে সফরে যান, যখন তিনি মুক্কা মুকাররমাতে ফিরে আসলেন তখন তাঁর নিকট ১০ হাজার দিরহাম ছিলো (অর্থাৎ স্বর্ণের মুদ্রা) ছিলো। অতঃপর তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ শহরের বাইরে তাবু