Book Name:Faizan e Imam Shafi
হযরত ইব্রাহিম عَلَیْہِ السَّلَام এর একটি মোবারক দোয়া
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর পবিত্র জীবনীর এ কেমন প্রিয় দিক যে, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কেবল নিজের জন্য নয় সকল মুসলামনের হকে দোয়া করতেন। এটা আল্লাহ পাকের বন্ধু হযরত ইব্রাহিম عَلَیْہِ السَّلَام এর মোবারক পদ্ধতি ছিলো, আল্লাহ পাক কুরআনে পাকে হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام এর একটি দোয়া এ শব্দাবলি দ্বারা বর্ণনা করেছেন:
رَبَّنَا اغۡفِرۡ لِیۡ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَوۡمَ یَقُوۡمُ الۡحِسَابُ (۴۱)
(পারা ১৩, সূরা ইব্রাহিম, ৪১)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করো এবং আমার মাতা-পিতাকে ও সকল মুসলমানকে, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।
হে আশিকানে রাসূল! দোয়া সর্বোওম ইবাদত বরং হাদীসে পাকে এসেছে: اَلدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَۃِ দোয়া ইবাদতের মগজ। (তিরমীযি, ৭৭৭ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩৩৭১) দোয়ার একটি সর্বোওম উপকারীতা এটাও রয়েছে যে, দোয়া হচ্ছে ফ্রি নেকী, এতে কোন পয়সা খরচ হয় না, কোন কষ্ট হয় না, ব্যস অন্তরের ধ্যন ও মুখের নড়া-চড়া প্রয়োজন, বরং মুখ নড়া-চড়া না করলেও তখনও মনে মনে দোয়া করা যায়।
কিন্তু দেখা যায়, আমাদের এখানে লোকেরা দোয়ার ক্ষেত্রে কৃপনতা করে, বর্তমানে আমাদের মধ্যে নিজের জন্য দোয়া চাওয়ার লোক অনেক কম, যারা নামায পড়ে, দ্বীনের মানসিকতা রাখে তারা সাধারণত দোয়ার দিকে মনোযোগ দেয়, অন্যতায় অনেক লোক আছে যারা কষ্টের শিকার হলে, পেরেশান গ্রস্থ