Book Name:Faizan e Imam Shafi
ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নিশ্চুপ স্বভাবের ছিলেন
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জিহবার সতর্কতা প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার মূল বিষয়। হাদীসে পাকে রয়েছে: তোমরা যাকে দেখবে যে, তাকে নিরবতার নেয়ামত দান করা হয়েছে, তার সঙ্গ অবলম্বন করো কারণ এই ধরনের ব্যক্তিদের হিকমত দান করা হয়। (ইবনে মাজা, ৬৬৭ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪১০১)
ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِও জিহবার সতর্কতার মধ্যে পারদর্শী ছিলেন, হয়তো এই কারণে আল্লাহ পাক তাকে হিকমত ও প্রজ্ঞার নেয়ামত দান করেছেন। একবার ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কাছে কোন মাসআলা জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নিশ্চুপ ছিলেন, কোন উত্তর দিলেন না। আরজ করা হলো: আপনি নিরবতা কেন অবলম্বন করলেন? উত্তর কেন দিলেন না? বললেন: আমি এটা চিন্তা করছি যে, উত্তর দেয়াতে কল্যাণ নিহিত নাকি চুপ থাকার মধ্যে। (ইহ্য়াউল উলুমদ্দীন, ১ম খন্ড, ৪০ পৃষ্ঠা)
مَاشَآءَالله! কেমন হিকমত পূর্ণ কথা, ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বাণীর সারাংশ: ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মোবারক ধরণ দ্বারা ২টি বিষয় বুঝা গেলো: (১) একটি এটা যে, ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কথা বলার পূর্বে চিন্তা করতেন। (২) ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কথা বলার ক্ষেত্রে অনর্থক ও সাওয়াবের দৃষ্টি রাখতেন যে, যদি কথা বলাতে উত্তম হয়, সাওয়াবের মাধ্যম হয় তাহলে বলতেন, অন্যতায় নিশ্চুপ থাকতেন।
হায়! আমাদেরও কথা বলার পূর্বে চিন্তা করার অভ্যাস নসিব হতো, অন্যতায় অবস্থা অনেক নাজুক, আমাদের মুখ যখন চলে তখন চলতেই থাকে, গীবত, চুগলী, মিথ্যা, অপবাদ আর জানিনা কেমন কেমন গুনাহ সাধারণ কথা-বার্তার মধ্যে করছি আর