Book Name:Faizan e Imam Shafi
আমাদের জানাও থাকে না, আল্লাহ পাক আমাদের মুখের হিফাযতের চিন্তা করার তৌফিক দান করুন।
আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি আমাকে দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (অর্থাৎ জিহ্বা) এবং উভয় পায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (অর্থাৎ লজ্জাস্থান) এর নিরাপত্তা দিবে আমি তাকে জান্নাতের নিরাপত্তা দিবো। (বুখারী, ১৫৯১ পৃষ্ঠা, ৬৪৭৪)
হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাকের ব্যাখ্যায় লিখেন: অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজের মুখকে মিথ্যা গীবত, নাজায়েয কথা বলা থেকে বিরত রাখবে, নিজেকে ব্যভিচারের দিকে যেতে দিবে না। (জান্নাতের মালিক, হুযুরে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাকে জান্নাতের নিরাপত্তা দিয়েছেন। ) মুফতি সাহেব আরো বলেন: (যে বান্দা নিজের জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে) স্পষ্ট এটা যে, এসব মুসলমান মুমিন মুত্তাকি হবে। মনে রাখবেন! প্রায় ৮০% গুনাহ মুখ দিয়ে হয়ে থাকে।
(মিরাতুল মানাজিহ, ৬ খন্ড, ৪৪৭ পৃষ্ঠা)
হে আশিকানে রাসূল! অনুমান করুন! জিহ্বা কেমন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যে ব্যক্তি জিহ্বার হিফাযত করে নিবে, জিহ্বাকে গুনাহ থেকে বাঁচাতে সফল হয়ে যাবে এবং এর সাথে সাথে ব্যবিচার ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকবে রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাকে জান্নাতের নিরাপত্তা দিয়েছেন আর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিরাপত্তা আল্লাহ পাকের নিরাপত্তা।
ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সঙ্গি হযরত রাবিঈ’ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে বললেন: হে রাবিঈ! অনর্থক কথা বলো না কেননা যখন তুমি কথা বলে ফেলবে তখন সেই কথা তোমার উপর বিচারক হয়ে বসবে আর তুমি তার গোলাম হয়ে যাবে। (আল মুস্তাতরিফ ফি কুল্লি ফান্নি মুস্তাতরিফ, ১ম খন্ড, ৮২ পৃষ্ঠা)