Faizan e Imam Shafi

Book Name:Faizan e Imam Shafi

গাড়লেন, মানুষ তাঁর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নিকট আসতে লাগলো, তিনি তাদেরকে সম্পদ দান করতে থাকেন যখন তিনি তাবু থেকে বাইরে বের হলেন তখন সমস্ত সম্পদ (অর্থাৎ ১০ হাজার স্বর্ণের মুদ্রা) আল্লাহ পাকের রাস্তায় বন্টন করে দিলেন (তারিখে মদীনা দামেস্ক, ৫১ খন্ড, ৪০১ পৃষ্ঠা)

মহরের টাকা আদায় করে দিলেন

    হযরত রাবিঈ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا বলেন: যখন আমার বিয়ে হলো তখন হযরত ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আমাকে বললেন: মহর কতটুকু ধার্য করেছো? আমি আরজ করলাম: ৩০ দিনার, তিনি দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা করলেন: তার মধ্যে কতটুকু আদায় করেছো? আমি আরজ করলাম: দিনার, এতটুকু জিজ্ঞাসা করার পর ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ চলে গেলেন পরে আমার নিকট একটি প্যাকেট পাঠালেন, যার মধ্যে সম্পূর্ণ ২৪ দিনার ছিলো অর্থাৎ মহরের অবশিষ্ট যত টাকা বাকি ছিলো আর রাবিঈ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا এর দায়িত্বে আবশ্যক ছিলো তিনি তাঁর কাছ থেকে চাইলেনও না, ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ চাওয়া ব্যতিত তাকে সেই মূল্য দিয়ে দিলেন

(শুআবুল ঈমান, খন্ড, ৪৫২ পৃষ্ঠা হাদীস: ১০৯৬২)

    سُبْحٰنَ الله এটা হলো দানশীলতা...! ইমাম শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নিজে জানতে পারলেন যে, মহর এর অনেক টাকা এখনো দায়িত্বে অবশিষ্ট রয়েছে, অতঃপর জানার পর কেবল সান্তনা দেননি বরং নিজে সেই মূল্য দিয়ে দিলেন। আল্লাহ পাক আমাদেরকেও দানশীল হওয়ার তৌফিক দান করুন। হায়! আমাদের অন্তর থেকে সম্পদের ভালোবাসা বের হয়ে যেতো, বিশ্বাস করুন! আমাদের অন্তরে সম্পদের অনেক লোভ রয়েছে। পকেট থেকে টাকা বের করতে মন বাধা দেয়, গরিবকে দেয়ার জন্য বড় নোট বের করার সাহসও হয় না। হায়!  যদি এই লোভ শেষ হয়ে